নারায়ণগঞ্জ জেলার ৫ টি আসনে ৩৪ প্রার্থীর মধ্যে প্রতীক বরাদ্ধ
নারায়ণগঞ্জের ৫ টি সংসদীয় আসনের চূড়ান্ত লড়াইয়ের ৩৪ জন প্রার্থীর মধ্যে প্রতীক দেয়া হয়েছে। সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়। প্রতীক বরাদ্ধের মধ্যে দিয়ে প্রার্থীরা আজকে থেকে আনুষ্ঠানিক ভাবে প্রচারণা শুরু করতে পারবেন। দলীয় প্রতীকের পাশাপাশি স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মধ্যে লটারি করেও প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়। প্রতীক নেয়ার জন্য জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে এসেছেন আওয়ামী লীগের গোলাম দস্তগীর গাজী, জাতীয় পার্টির সেলিম ওসমান, তৃণমূল বিএনপির তৈমুর আলম খন্দকার, আওয়ামী লীগের কায়সার হাসনাত। আওয়ামী লীগের শামীম ওসমান, নজরুল ইসলাম বাবু, জাতীয় পার্টির লিয়াকত হোসেন খোকা তাঁদের প্রতিনিধির মাধ্যমে প্রতীক বরাদ্ধ নিয়েছেন।
নারায়ণগঞ্জ-১ আসনে ৯ জন প্রার্থীর মধ্যে ৪ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী আছেন। তাঁদের মধ্যে শাহাজাহান ভুইয়া (কেটলি), গাজী গোলাম মর্তুজা (ঈগল), মো. হাবিবুর রহমান (আলমিরা), মো. জয়নাল আবেদীন চৌধুরী (ট্রাক) প্রতীক পেয়েছেন। এছাড়া আওয়ামী লীগের গোলাম দস্তগীর গাজী (নৌকা), তৃণমূল বিএনপির তৈমুর আলম খন্দকার (সোনালী আঁশ), বাংলাদেশ ইসলামি ফ্রন্টের একেএম শহিদুল ইসলাম (মোমবাতি), মো. সাইফুল ইসলাম (লাঙ্গল), জাকের পার্টির মো. জোবায়ের আলম ভূঞা (গোলাপ ফুল) প্রতীক পেয়েছেন।
এখানে শাহাজাহান ভুইয়া ও গাজী গোলাম মর্তুজার মধ্যে লটারি করে ঈগল পান গাজী গোলাম মর্তুজা।
নারায়ণগঞ্জ-২ আসনে ৫ জনের মধ্যে একমাত্র স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. শরিফুল ইসলাম (ঈগল) প্রতীক পেয়েছেন। এছাড়া আওয়ামী লীগের নজরুল ইসলাম বাবু (নৌকা), তৃণমূল বিএনপির মো. আবু হানিফ হৃদয় (সোনালী আঁশ), জাকের পার্টির শাহজাহান (গোলাপ ফুল), জাতীয় পার্টির আলমগীর সিকদার লোটন (লাঙ্গল) পেয়েছেন।
নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনে মোট ৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। একমাত্র স্বতন্ত্র প্রার্থী এ.এইচ.এম মাসুদ (ঈগল) প্রতীক পেয়েছেন। এছাড়া আওয়ামী লীগের কায়সার হাসনাত (নৌকা), জাতীয় পার্টির লিয়াকত হোসেন খোকা (লাঙ্গল), বিএনএমের এবিএস ওয়ালিউর রহমান খান (নোঙ্গর), বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির মো. আসলাম হোসাইন (একতারা), বিকল্প ধারার বাংলাদেশের নারায়ণ দাস (কুলা), বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের মো, মজিবুর রহমান (ফুলের মালা), বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের মো. আরিফ (ছড়ি) পেয়েছেন।
নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে ৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। এখানে আওয়ামী লীগের একেএম শামীম ওসমান (নৌকা), তৃণমূল বিএনপির মো. আলি হোসেন (সোনালী আঁশ), জাকের পার্টির মো. মূরাদ হোসেন জামাল (গোলাপ ফুল), বাংলাদেশ সুপ্রীম পার্টির মো সেলিম আহমেদ (একতারা), বাংলাদেশ ইসলামি ফ্রন্টের মো. হাবিবুর রহমান (মোমবাতি), ন্যাশনাল পিপলস পার্টির শহিদ উন নবী (আম), বাংলাদেশ কংগ্রেসের গোলাম মোর্শেদ রনি (ডাব), জাসদের মো. ছৈয়দ হোসেন (মশাল) প্রতীক পেয়েছেন। এখানে কোন স্বতন্ত্র প্রার্থী নেই।
নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে একেএম সেলিম ওসমান (লাঙ্গল), বাংলাদেশ ইসলামি ফ্রন্টের এএসএম একরামুল হক (মোমবাতি), তৃণমূল বিএনপি মো. আব্দুল হামিদ ভাসানী (সোনালী আঁশ), বাংলাদেশ সুপ্রীম পার্টির ছামসুল ইসলাম (একতারা) প্রতীক পেয়েছেন। এখানেও কোন স্বতন্ত্র প্রার্থী নেই।