ওয়েস্ট বেঙ্গল অঙ্গনওয়ারি ওয়ার্কার্স এবং হেল্পার্স ইউনিয়নের ডাকে, কলকাতায় বিক্ষোভ সমাবেশ ও ডেপুটেশন।
আজ ২০শে ডিসেম্বর বুধবার, ঠিক দুপুর দুটায় , ওয়েস্ট বেঙ্গল অঙ্গনওয়াড়ি ওয়ার্কার্স এবং হেল্পার্স ইউনিয়নের ডাকে, ও এ আই ইউ টি ইউ সির পরিচালনায়, কয়েক হাজার আই সি ডি এস কর্মীরা বিভিন্ন দাবী নিয়ে ধর্মতলায় বিক্ষোভ সমাবেশ করলেন ও ডেপুটেশন দিলেন , নারী ও শিশু কল্যাণ দপ্তরের ডাইরেক্টর, মন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রীর নিকট, আজ এই বিক্ষোভ সমাবেশ, ধর্মতলা চত্বরে একটা অন্য রূপ নেয় ,প্রশাসন নির্বিকার, তাহারা সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিলেও, আই সি ডি এস কর্মীরা তাহাদের কথায় কর্ণপাত করেননি। প্রায় এক থেকে দেড় ঘন্টা চলে বিক্ষোভ সমাবেশ এবং রাস্তা অবরোধ করে সকলে বসে পড়েন ধর্মতলার ডরিনা ক্রসিং এ। তারা বলেন যতক্ষণ না আমাদের দাবী মিটবে, আমরা এখান থেকে এক পা নড়ব না ,দেখব প্রশাসন কিভাবে আমাদের তুলে দিতে পারে, কতগুলি চালাতে পারে, কত অত্যাচার করতে পারে, তবুও আমরা আজ দাবী আদায়করে তবে ফিরব। অতি বাড়ী আমরা যখন এইভাবে আন্দোলন করি, আমাদেরকে একটা করে ভাওতা দিয়ে এখান থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। তারপর চুপ করে থাকেন এবারে আমরা সেটা হতে দেব না। আমাদেরকে বারবার হেনস্থা করা হচ্ছে, এবং বিভিন্নভাবে সরকার আমাদের জব্দ করার চেষ্টা করছেন, দিনের পর দিন জিনিসের দাম বাড়ছে অথচ সরকার নির্বিকার এমনকি দোকানে দেনা বেড়ে চলেছে সে টাকা পর্যন্ত সরকার দিতে পারছে না। আমাদেরকে অনলাইনের মধ্য দিয়ে কাজ করতে বলেছেন, আর তার জন্য সরকার ঘোষণা করেছিলেন স্মার্টফোন দেওয়ার, কিন্তু আজও আমরা পাই না। শুধু ভাওতার পর ভাওতা দিয়ে আমাদেরকে চুপ করিয়ে রেখেছেন, আর আমরা চুপ করে থাকব না, শুধু তাই নয়, আই সি ডি এস দপ্তরে কর্মী, সহায়িকা ও সুপারভাইজার সহ বিভিন্ন শূন্যপদ পদ খালি পড়ে আছে , সেই পথগুলি অবিলম্বে পূরণ করতে হবে স্বচ্ছতার সহিত, আমরা একমাস আগে জানিয়েছিলাম ডেপুটেশন দেবো, অথচ জানা সত্ত্বেও আজকে মাননীয় মন্ত্রী শশী পাঁজা বাইরে চলে গেলেন। কেন চলে গেলেন তার জবাব দিতে হবে, এদিকে প্রশাসন বারবার বোঝানোর চেষ্টা করেন এবং পরে দায়িত্ব নিয়ে আবার বলেন, আমরা আপনাদের পাশে আছি ,মাননীয় মন্ত্রী ফিরে আসলেই আমরা কথা বলব। আপনারা আমাদের সাথে একটু কপারেট করুন,
আই সি ডি এস কর্মীদের দাবিগুলি … সরকারি কর্মীর স্বীকৃতি সহ মাসিক বেতন ২৮ হাজার টাকা করতে হবে ।
সহায়িকা থেকে কর্মীতে প্রমোশন দেওয়ার ক্ষেত্রে ন্যূনতম যোগ্যতা মাধ্যমিক রাখতে হবে।
কেন্দ্র গুলির নিজস্ব গৃহ নির্মাণের ব্যবস্থা করতে হবে।
অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী থেকে সুপারভাইজার পদে নিয়োগ, হাইকোর্টের রায় মেনে অবিলম্বে নিয়োগ করতে হবে।
সমস্ত শূন্য পদে কর্মী সহায়িকা ও সুপারভাইজার নিয়োগ করতে হবে।
সরকারকে অবিলম্বে স্মার্টফোন এবং নির্দিষ্ট সিম ও বারো মাসে রিচার্জের ব্যবস্থা করতে হবে।
প্রত্যেক অঙ্গনওনারী কেন্দ্রের কাছে এন্ড্রয়েড ফোন না দেওয়া পর্যন্ত ,অনলাইন ব্যবস্থা চালু করা চলবে না।
কর্মী সহায়িকাদের খাবার পাওয়ার অধিকার থেকে বঞ্চিত করা চলবেনা ।
এই সকল দাবি গুলি নিয়ে বিভিন্ন জেলা থেকে কয়েক হাজার আই সি ডি এস কর্মী উপস্থিত ছিলেন এবং তারা ডেপুটেশন দিলেন, কিন্তু তারা জানালেন যতক্ষণ না ডেপুটেশন দিয়ে আমাদের কর্মীরা ফিরে না আসে ,ততক্ষণ আমরা এখান ছেড়ে যাব না, অবশেষে আইপিএস অফিসার থেকে শুরু করে অন্যান্য অফিসারেরা বুঝিয়ে তাদেরকে কিছুটা রাস্তা ছাড়ার কথা অনুরোধ করেন, যাতে যান চলাচলটা স্বাভাবিক হতে পারে। কিন্তু তারা বলেন আপনাদের কথা মত আমরা ছাড়ছি, যদি আমাদের দাবি না মেটে ,তাহলে আমরা এর চাইতেও তীব্র আন্দোলন বিক্ষোভ করবো। সেই দিন দেখব কিভাবে রাস্তা থেকে তুলে দিতে পারে।