১৪ বছরে সংসার রেখে ৮ম শেণীর শিক্ষার্থীকে বাল্য বিবাহ করলেন ইউপি সদস্য তুলা রায়।
অষ্টম শ্রেণী পড়ুয়া এক শিক্ষার্থীকে বিয়ে করে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছেন এক ইউপি সদস্য। ১ম স্ত্রী ও দুই সন্তান রেখে দ্বিতীয় বারের মত বিয়ের পিঁড়িতে বসায় ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছেন তিনি। ঘটনাটি ঘটিয়েছেন ঠাকুরগাঁও জেলার রাণীশংকৈল উপজেলার বাচোর ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ড মেম্বার তুলা রাই।
যেখানে, বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন, ২০১৭ উল্লেখ রয়েছে, স্থানীয় সরকারের মেম্বার ও প্রতিনিধি কোন ব্যক্তির লিখিত বা মৌখিক আবেদন অথবা অন্য কোন মাধ্যমে বাল্যবিবাহের সংবাদ প্রাপ্ত হইলে তিনি উক্ত বিবাহ বন্ধ করিবেন অথবা বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্ত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারিবেন। সরকারি নিষেধাজ্ঞার পরেও একজন ইউপি সদস্য নিজেই কীভাবে বাল্য বিয়ে করতে পারেন তা নিয়ে জনমনে নানা সমালোচনা সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সদ্য বিয়ে করা জুঁই রাণী উপজেলার রাতোর ইউনিয়নের গবিনাথপুর গ্রামের সুঠিন চন্দ্র রায়ের মেয়ে। ছাত্রী জুঁই রাণীর উপর নজর পড়ে বাচোর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য তুলা রায়। এরপর ওই ছাত্রীকে নানাভাবে ফুসলিয়ে তার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। গত সোমবার মেয়েটিকে পালিয়ে নিয়ে বিয়ে করে আত্নগোপনে রয়েছেন ইউপি সদস্য তুলা রায়।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে ইউপি সদস্য তুলা রায় ১৪ বছর আগে বিয়ে করেন তার বাসায় এক স্ত্রী ও দুই স্কুল পড়ুয়া সন্তান রয়েছে।
ইউপি সদস্য (মেম্বারের) দ্বিতীয় বিয়ের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ছড়িয়ে পড়ায় এলাকায় ব্যাপক সমালোচনার ঝড় বইছে। সচেতন বলছে এটি সামাজিকতার মান ক্ষুণ্য করেছে, আজ সে একজন মেম্বার হয়ে এ কাজ করেছে, তার দেখে কাল আরো একজ করবে, এর বিহীত হওয়া দরকার।
এদিকে, একজন নির্বাচিত ইউপি সদস্য বাল্যবিয়ে করলেও প্রশাসন কোন আইনগত ব্যবস্থা না নেওয়ায় জনমনে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।
এ বিষয়ে ইউপি সদস্য তুলা রায়ের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে কোন সারা পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে, বাচোর ইউপি চেয়ারম্যান জিতেন চন্দ্র রায় বলেন, এই ঘটনাটির আমি ধিক্কার জানাই, আমরা স্থানিয় সরকারের নিয়ম অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবো।
রাতোর ইউপি চেয়ারম্যান শরৎচন্দ্র রায় বলেন, মেয়ে টি তুলা মেম্বারের সাথে পালিয়েছে বিষয় টি জনতে পেরে,উভয় পক্ষকে ডাকা হলে কোন সারা পাইনি, আমি রানিশংকৈল থানার ওসি কে অবগত করেছি।
এ বিষয়ে রানিশংকৈল উপজেলা নির্বাহী অফিসার রকিবুল হাসান বলেন, অভিযোগ পেলে মেম্বারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।