শপথ নেয়ার পর পরই সজল মোল্লার অনুসারিদের পরিবহন সেক্টরে ব্যাপক চাঁদাবাজি। শ্রমিকরা অতিষ্ঠ ।
গত ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়ে গেল শপথ ও শেষ হলো গতকাল ঢাকা-৫ ডেমরা যাত্রাবাড়ি ও কদমতলির কিছু অংশ নিয়ে গঠিত এ আসন টি। টানটান উত্তেজনার মধ্য দিয়ে নৌকা প্রতিকের হারুনরশিদ মুন্নাকে ২৯৭ ভোটে হারিয়েছে মশিউর রহমান সজল মোল্লা। এ আসনে আরেক হেবিওয়েট প্রার্থী ছিলেন সেচ্ছাসেবক লীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিনের সভাপতি কামরুল হাসান রিপন মূলত সজলের এমপি হওয়ার পিছনে নেয়ামক শক্তি হিসাবে ভুমিকা রেখেছে রিপনের প্রায় এগারো হাজার ভোট কম করে হলেও আট হাজার ভোট নৌকার সমর্থকদের ছিলো রিপন শক্ত প্রতিদ্বন্ডি না হলে সজল সামান্য ব্যবধানে এমপি হতে পারতো না।
অতি উৎসাহি কিছু আওয়ামিলীগ নেতা কর্মিরা মুন্নার নামে বিভিন্ন স্ট্যান্ডে চাঁদাবাজি সহ নানা অপকর্মে জরিয়ে পরেছে মুন্নার হারের পিছনে সেটিও একটা কারন হয়ে দারিয়েছে । সজল মোল্লা এমপি হাওয়ার পর গতকাল শপথ নেয়ার পরই পুরানো দৃশ্য পট পাল্টে যায়।
আমার দিগন্তের এক অনুসন্ধানে, দেখা যায়। সায়দাবাদ যাত্রাবাড়ি ডেমরা স্টাফ কোয়ার্টার সাইনবোর্ড সহ বিভিন্ন এলাকায় অটো লেগুনা মিনিবাস সহ দুরপাল্লার বাসগাড়িতে মোল্লা পরিবারের নাম ভাঙ্গিয়ে ব্যাপক হারে চাঁদাবাজি চালিয়ে যাচ্ছে সজল মোল্লার চাচা বাবুল মোল্লার ছেলে সহ একাধিক চাঁদাবাজরা এযেন পুরানো মদ নতুন বোতলে ।
জানা যায়, এ সকল সেক্টরে প্রতিদিন দশ লক্ষ টাকার উপরে চাদাবাজি হয় । এই মোটা অংকের টাকা ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে নেতা, পাতি নেতাদের মধ্যে যে কোন মুহুর্তে ব্যাপক সংঘর্ষের আবাস পাওয়া যায়।
গতকাল দেখা যায়, নবাগত এমপি সজল মোল্লার অনুসারিরা সাইনবোর্ড,স্টাফ কোয়ার্টার যাত্রাবাড়ি সয়দাবাদ এলাকয় ৩০/৩৫ জনের একটি দল মটর সাইকেল নিয়ে ঐ সকল এলাকয় আধিপথ্য বিস্তারে জন্য মহরা দিয়ে বেড়াচ্ছে । এ ব্যাপারে সজল মোল্লার ফোনে কথা বলতে চাইলে তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। র্যাব পুলিশের হস্তক্ষেপ না হলে যেকোন সময়ই দুই পক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হতে পারে বলে সাধারন জনগন ধারনা করছেন।