ডাকাত বনে গেলো মুক্তিযোদ্ধা সচিব সুপাত্রের কারণে (পর্ব-১)
শহিদুল ইসলাম খান (বাবন) এর ছেলে মোঃ কামরুল ইসলাম,বাংলাদেশ জ্বালানি ও বিদ্যুৎ গবেষণা কাউন্সিলের চেয়ারম্যান এর একান্ত সচিব ৩০ তম বিসিএস ক্যান্ডিডেট। বিশেষত, তিনি চাকুরীর ক্ষমতার অপব্যবহার করে সরকারের চক্ষু অন্তরালে বিভিন্ন সময়ে স্বার্থসিদ্ধি লাভ করে আসছেন। তার মধ্যে অন্যতম ঘটনা হচ্ছে, ডাকাত পিতা শহিদুল ইসলাম বাবুল ওরফে (হাত কাটা বাবন) কে মুক্তিযোদ্ধা বানানো। যেখানে ৩০ তম বিসিএস পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় ৩০ জুলাই ২০১০ ইং তারিখে। ক্যান্ডিডেট এপ্লিকেশনে তিনি তার পিতা মুক্তিযোদ্ধা সে কোঠা কোথাও ব্যবহৃত হয়নি, যেহেতু ডাকাত পিতার বিশেষ কোনো পরিচয় দেয়া সম্ভব ছিলনা। চাকুরীতে যোগদানের বহুকাল পর তিনি স্বার্থ হাসিলের জন্য পিতার নামের পাশে নোংরা দাগ মুছতে সরকারি সুযোগ-সুবিধার অপব্যবহার করেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের সরকার মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী সকল শ্রেণীর মানুষকে বিশেষ মর্যাদা ও সুযোগ সুবিধা প্রদানে সর্বদা তৎপর। মুক্তিযোদ্ধা নামের তালিকা গঠন করার প্রক্রিয়া চলাকালীন এক অসাধু শ্রেণীর মানুষেরা ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা বানানোর জন্য টাকা বিনিময় করে হলেও এ সুযোগের ফায়দা লুটতে চায়। এদের মধ্যে সচিব কামরুল ইসলাম খান বিশাল অংকের টাকার বিনিময় করে নিজ পিতার ডাকাত জীবনের কালো অধ্যায় ঘোচাতে মুক্তিযোদ্ধা বানানোর জন্য চক্রান্ত চালান। অবশেষে সফলও হয়েছেন। ৮ মে, ২০২২ রবিবার, গেজেট নং- বেসামরিক গেজেট ৩৯৮৪, মুক্তিযোদ্ধা নং-০১২৬০০০৫৭৯৪ পরিচয় দেয়া ডাকাত হাতকাটা বাবন বনে যায় মুক্তিযোদ্ধা বাবন।৭১ এর যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী অনেকেই বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের মাঝে কোথাও শহিদুল ইসলাম বাবুল কে আমরা অংশগ্রহণ করতেও দেখিনি। এছাড়া ও নবাবগঞ্জ থানা কমান্ডো আবু বকর সিদ্দিকী বলেছেন, বাবন কে আমরা কোথাও ৭১ এর যুদ্ধ তে অংশগ্রহণ করতে দেখিনি, এ কথা প্রয়োজনে আমি আমার প্যাডে লিখে দিবো।” কি করে দেখবেন সবাই! এলাকাবাসী সকলেই জানেন এ বাবন ছিলো ডাকাত। ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা খেতাবধারী শহিদুল ইসলাম বাবুল (বাবন ) ১৯৭১সালে তাঁতিবাজার স্বর্ণ লুট করতে গিয়ে পুলিশের গুলিতে হাত হারায় ,তখন থেকেই সে হাতকে কাজে লাগিয়ে তিনি মুক্তিযোদ্ধা খেতাব অর্জনের চেষ্টা চালিয়ে যান। শহিদুল ইসলাম বাবুল (বাবন) ১৯৭১সালে২৮বা২৯ শে মার্চ স্বর্ণ লুট করতে গেলে পুলিশ গুলি করেন চিকিৎসা করার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজে ভর্তি হন তখন কর্মরত ডাক্তার তার হাতটি কেটে ফেলেন যখন তার হাত হারিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তখন পুলিশের হাতে ধরা পড়ার ভয়ে সেখান থেকে চিকিৎসা শেষ না করেই ঢাকা মেডিকেল কলেজের বেডের চাদর গায়ে জড়িয়ে গ্রামে পালিয়ে যান । সঠিকভাবে চিকিৎসা না করায় তার হাতে পচন ধরে ।এছাড়াও পুলিশের ভয়ে গ্রামেও কোন ডাক্তার না দেখাতে পেরে তার চাচাতো ভাই মাসুদুর রহমান খান (জিবু) এর সাহায্যে হাতে নিজেরাই ড্রেসিং করত। আর সেই হাত কাটা কে কেন্দ্র করেই তিনি বলেন যুদ্ধে গুলি লেগে তার হাতটি কাটা পড়েছে । এবং তিনি হয়ে যান একজন মুক্তিযোদ্ধা। আর এই মুক্তিযোদ্ধার খেতাবকে কাজে লাগিয়েই তিনি করে চলেছেন রাষ্ট্র বিরোধী অনেক কাজ। এছাড়াও শহিদুল ইসলাম বাবুল ( বাবন) এর ছেলে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ ও জ্বালানি গবেষণার চেয়ারম্যান মোঃ মোকাব্বির হোসেন এর একান্ত সচিব পদধারী কামরুল ইসলাম এর ক্ষমতার অপব্যবহার করেই শহিদুল ইসলাম বাবুল ওরফে হাত কাটা (বাবন) তার আপন ছোট ভাই হেলাল ও আরো আত্মীয়-স্বজনের জমি সুকৌশলে লিখিয়ে নেন এবং দখল করে রাখেন। তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে আরো জানা যায় সাহিদা বেগম পিতা মৃত: মজিবুর রহমান তার আপন চাচাতো বোনকে ও ২০ শতাংশ জমির থেকে ছাড় দেয়নি আর এভাবেই তিনি ধীরে ধীরে তার সম্পদের পাহাড় গড়ে তোলেন। এছাড়াও তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে আরো জানা যায় গ্রামের বাড়িতে তিনি বহুতলা ভবনের এর কাজ শুরু করেছেন ।যেখানে তিনি মুক্তিযোদ্ধাই নন এছাড়াও পৈত্রিক সূত্রে অধিক সম্পদের মালিকও ছিলেন না সেখানে তিনি কিভাবে এত টাকার মালিক হলেন ।শহিদুল ইসলাম বাবুল হাতকাটা ( বাবন) তার অপকর্ম থেকে তার আপন শালাকেও ছাড় দেননি তার শালা দুলালের কাছ থেকে এক কোটি ২৫ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেন বলে জানা যায়। শহিদুল ইসলাম বাবুল হাতকাটা ( বাবন) তার এ সকল অন্যায় কাজ তার ছেলের সহযোগেই করে থাকেন বলে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা জানান ।গণমাধ্যম কর্মীরা এ বিষয়ে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ ও জ্বালানি গবেষণার চেয়ারম্যান মোকাব্বির হোসেন এর কাছে কামরুল ইসলামের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বিষয়টা সম্পর্কে বলেন পত্র পত্রিকায় কামরুল ইসলাম ও তার বাবার বিষয়ে একাধিক নিউজ হয়েছে আমি দেখেছি এ বিষয়ে আমার আসলে করনীয় কিছু নেই। চেয়ারম্যান মুকাব্বির হোসেন বলেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে যোগাযোগ করতে পারেন। আরো জানা যায় গুণধর পুত্র কামরুল ইসলাম বলেন টাকা আর ক্ষমতার জোরে বাবাকে মুক্তিযোদ্ধা বানিয়েছে আর ভাইকে বানিয়েছি আওয়ামী লীগের ওয়ার্ডের সদস্য আর টাকা দিয়ে সব ধামাচাপা করে ফেলব । এখন প্রশ্ন হলো কামরুল ইসলামের এত টাকা ও ক্ষমতার জোর আসলো কোথা থেকে। বিষয়টি দুর্নীতি দমন কমিশন দুদকের তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন । বিস্তারিত আরো তথ্য সংগ্রহ হচ্ছে ।